একটি জঘন্য ভাইভার সুমিষ্ট পরিসমপ্তি - অভিজ্ঞতাটি আপনার ভাইভা জিবনে কাজ দিবে ..........!!!!
একটি জঘন্য ভাইভার সুমিষ্ট পরিসমাপ্তি!- ডেট: ২৮.১০.২০১৭
০৬.১২.২০১৮ চুড়ান্তভাবে পজেটিভ রেজাল্ট পেলাম
*******
প্রায় ১৪ মাস আগে একটা ভাইভা দিয়েছিলাম।যতগুলো ভাইভা দিয়েছি তারমধ্য সবচেয়ে জঘন্য একটা ভাইভা অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
এতদিন পর হুবহু না হলেও প্রায় পুরোপুরি চৌম্বক অংশটুকু শেয়ার করছি।
ডেট: ২৮.১০.২০১৭
স্থান: BSTI Head Office,Tejgaon
বোর্ড: তৎকালনীন ডিজি জনাব সাইফুল হাসিব।
ডিউরেশন: ৭-৮ মিনিট
অনুমতি নিয়ে ভিতরে ঢুকে সালাম দিয়ে বসলাম।
চেয়ারম্যান স্যার: পড়াশুনা দেখছি ফিজিক্সে অনার্স,মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস কারমাইকেল কলেজ থেকে।
বাহ্ নামকরা কলেজ বাংলাদেশের।অনেক সুনাম শুনেছি। অনেক পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।আচ্ছা, তুমি ইংরেজীতে #মাইকেল বানান করো।
আমি: ধন্যবাদ স্যার। স্যার মাইকেলের ইংরেজী বানান Michael
চেয়ারম্যান স্যার: আমরা ইসলাম ধর্মে জানি, যে ফেরেশতা ওহী নাযিল করেন তার নাম জিবরাঈল (আ:) তুমি বলো ইংরেজরা বা খ্রিস্টানরা মিকাইল (আ:) কে কী নামে ডাকেন?
আমি: স্যরি স্যার। বলতে পারছিনা।
চেয়ারম্যান স্যার: ওহো! পারলেনা! এই মাইকেল নামে ডাকে। আচ্ছা, এবার বলো আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আ:) কে খ্রিস্টানরা কী নামে ডাকে?
আমি: স্যার, Adam।
চেয়ারম্যান স্যার: গুড। তাহলে মা হাওয়াকে কী নামে ডাকে?
আমি: স্যার বলতে পারছিনা।
চেয়ারম্যান স্যারের ডান পাশের জন: এই ছেলে পারবানা কেনো!! মেয়েদেরকে উত্যক্ত করো নাই? বলো মেয়েদের উত্যক্ত করাকে কী বলে?
আমি: স্যার, ইভটিজিং বলে।
চেয়ারম্যান স্যার: তাহলে মা হাওয়াকে কী বলে সেটা পারতেছোনা কেনো!! ইভ বলে ইভ। সেখান থেকেই ইভটিজিং কথাটার উৎপত্তি।
চেয়ারম্যান স্যার: এবার বলো ইডেন গার্ডেন কী?
আমি: স্যার, ইডেন গার্ডেন কলকাতার একটি বিখ্যাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
চেয়ারম্যান স্যার: হ্যাঁ ঠিক আছে কিন্তু আমি সেটা জানতে চাইনি। বাংলাদেশের সেক্রেটারিয়েট ইডেনগার্ডেন নামে পরিচিত এটা জানো না!!
তারপর চেয়ারম্যান স্যার তাঁর বাম পাশের স্যারকে বললেন--- স্যার, আপনার ছাত্রকে সাবজেক্ট ধরেন।
সাবজেক্টিভ স্যার: বলোতো এ্যাংগুলার মোমেন্টাম কখন কনজারভেটিভ হবে?
আমি: স্যার,কোন বস্তুর উপর টর্কের লব্ধি শূন্য হলে বস্তুটির কৌণিক ভরবেগ কনজারভেটিভ হবে।
এরপর সাবজেক্টিভ স্যার কি যেন একটা ইলেকট্রনিক্সে টার্ম ইংরেজীতে বলেছেন আমি বুঝতে পারিনি। তখন স্যার বললেন এটা কোথায় পড়ানো হয়? তখন আমি ভুলক্রমে বলছি স্যার, ইলেক্ট্রনিক্স সাবজেক্টে পড়ানো হয়। স্যার,তো ক্ষেপে আগুণ! এই ছেলে তোমার সাবজেক্ট ফিজিক্স, আর ইলেকট্রনিক্স হলো কোর্স। অনেকগুলো কোর্স মিলে একটা বিষয় হয়।
কিছুই পারেনা দেখছি।
আবার চেয়ারম্যান স্যার: রোমান্টিক পিরিয়ডের একজন Poet এর নাম বলো।
আমি: (ভাবতেছিলাম বাবারা, ফিজিক্সের মানুষকে কোন হিসেবে ইংলিশ লিটেরেচার ধরেন!)
রোমান্টিক পিরিয়ডের একজন কবির নাম বললাম PB Shelley
চেয়ারম্যান স্যার: শেলী মৃত্যু বরণ করের কিভাবে?
আমি: (ভাবতেছিলাম শেলীর মৃত্যু কাহিনী বলার আগে যে পেইন দিচ্ছেন সেটাই মৃত্যুর চেয়ে কম না।)
স্যরি স্যার, জানিনা।
চেয়ারম্যান স্যার: কী জানো তাহলে! আচ্ছা,কিশোর কবি কে?
আমি: স্যার,কিশোর কবি সুকান্ত ভট্রাচার্য।
চেয়ারম্যান স্যার: তার একটা কবিতা আছেনা ছাড়পত্র! সেটার কয়েক লাইন বলো।
আমি : (মনে মনে ভাবি, সারাজীবন ফিজিক্সের সুত্র মুখস্থ করলাম সেটাই মনে থাকেনে।আর কবিতা!!)
স্যার, পারবোনা।
চেয়ারম্যান স্যার: কী সম্ভব তোমার দ্বারা! ঝাড়ি ঝুড়ি মেরে বলে দিল.....যাও বেস্ট অফ লাক!
বি:দ্র: ভাইভা রুমের একবারে কর্ণারে একজন মনোবিজ্ঞানী সার্বক্ষণিক গালে হাত দিয়ে অবজার্ভ করতেছিলেন আর কিছুক্ষণ পরপর বেল বাজাচ্ছিলেন সম্ভবত।যখনি বেল বাজতেছিল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় তখনই তার দিকে একটু দৃষ্টি দিচ্ছিলাম।
অবশেষে গত ০৬.১২.২০১৮ চুড়ান্তভাবে পজেটিভ রেজাল্ট পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
০৬.১২.২০১৮ চুড়ান্তভাবে পজেটিভ রেজাল্ট পেলাম
*******
প্রায় ১৪ মাস আগে একটা ভাইভা দিয়েছিলাম।যতগুলো ভাইভা দিয়েছি তারমধ্য সবচেয়ে জঘন্য একটা ভাইভা অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
এতদিন পর হুবহু না হলেও প্রায় পুরোপুরি চৌম্বক অংশটুকু শেয়ার করছি।
ডেট: ২৮.১০.২০১৭
স্থান: BSTI Head Office,Tejgaon
বোর্ড: তৎকালনীন ডিজি জনাব সাইফুল হাসিব।
ডিউরেশন: ৭-৮ মিনিট
অনুমতি নিয়ে ভিতরে ঢুকে সালাম দিয়ে বসলাম।
চেয়ারম্যান স্যার: পড়াশুনা দেখছি ফিজিক্সে অনার্স,মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস কারমাইকেল কলেজ থেকে।
বাহ্ নামকরা কলেজ বাংলাদেশের।অনেক সুনাম শুনেছি। অনেক পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।আচ্ছা, তুমি ইংরেজীতে #মাইকেল বানান করো।
আমি: ধন্যবাদ স্যার। স্যার মাইকেলের ইংরেজী বানান Michael
চেয়ারম্যান স্যার: আমরা ইসলাম ধর্মে জানি, যে ফেরেশতা ওহী নাযিল করেন তার নাম জিবরাঈল (আ:) তুমি বলো ইংরেজরা বা খ্রিস্টানরা মিকাইল (আ:) কে কী নামে ডাকেন?
আমি: স্যরি স্যার। বলতে পারছিনা।
চেয়ারম্যান স্যার: ওহো! পারলেনা! এই মাইকেল নামে ডাকে। আচ্ছা, এবার বলো আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আ:) কে খ্রিস্টানরা কী নামে ডাকে?
আমি: স্যার, Adam।
চেয়ারম্যান স্যার: গুড। তাহলে মা হাওয়াকে কী নামে ডাকে?
আমি: স্যার বলতে পারছিনা।
চেয়ারম্যান স্যারের ডান পাশের জন: এই ছেলে পারবানা কেনো!! মেয়েদেরকে উত্যক্ত করো নাই? বলো মেয়েদের উত্যক্ত করাকে কী বলে?
আমি: স্যার, ইভটিজিং বলে।
চেয়ারম্যান স্যার: তাহলে মা হাওয়াকে কী বলে সেটা পারতেছোনা কেনো!! ইভ বলে ইভ। সেখান থেকেই ইভটিজিং কথাটার উৎপত্তি।
চেয়ারম্যান স্যার: এবার বলো ইডেন গার্ডেন কী?
আমি: স্যার, ইডেন গার্ডেন কলকাতার একটি বিখ্যাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
চেয়ারম্যান স্যার: হ্যাঁ ঠিক আছে কিন্তু আমি সেটা জানতে চাইনি। বাংলাদেশের সেক্রেটারিয়েট ইডেনগার্ডেন নামে পরিচিত এটা জানো না!!
তারপর চেয়ারম্যান স্যার তাঁর বাম পাশের স্যারকে বললেন--- স্যার, আপনার ছাত্রকে সাবজেক্ট ধরেন।
সাবজেক্টিভ স্যার: বলোতো এ্যাংগুলার মোমেন্টাম কখন কনজারভেটিভ হবে?
আমি: স্যার,কোন বস্তুর উপর টর্কের লব্ধি শূন্য হলে বস্তুটির কৌণিক ভরবেগ কনজারভেটিভ হবে।
এরপর সাবজেক্টিভ স্যার কি যেন একটা ইলেকট্রনিক্সে টার্ম ইংরেজীতে বলেছেন আমি বুঝতে পারিনি। তখন স্যার বললেন এটা কোথায় পড়ানো হয়? তখন আমি ভুলক্রমে বলছি স্যার, ইলেক্ট্রনিক্স সাবজেক্টে পড়ানো হয়। স্যার,তো ক্ষেপে আগুণ! এই ছেলে তোমার সাবজেক্ট ফিজিক্স, আর ইলেকট্রনিক্স হলো কোর্স। অনেকগুলো কোর্স মিলে একটা বিষয় হয়।
কিছুই পারেনা দেখছি।
আবার চেয়ারম্যান স্যার: রোমান্টিক পিরিয়ডের একজন Poet এর নাম বলো।
আমি: (ভাবতেছিলাম বাবারা, ফিজিক্সের মানুষকে কোন হিসেবে ইংলিশ লিটেরেচার ধরেন!)
রোমান্টিক পিরিয়ডের একজন কবির নাম বললাম PB Shelley
চেয়ারম্যান স্যার: শেলী মৃত্যু বরণ করের কিভাবে?
আমি: (ভাবতেছিলাম শেলীর মৃত্যু কাহিনী বলার আগে যে পেইন দিচ্ছেন সেটাই মৃত্যুর চেয়ে কম না।)
স্যরি স্যার, জানিনা।
চেয়ারম্যান স্যার: কী জানো তাহলে! আচ্ছা,কিশোর কবি কে?
আমি: স্যার,কিশোর কবি সুকান্ত ভট্রাচার্য।
চেয়ারম্যান স্যার: তার একটা কবিতা আছেনা ছাড়পত্র! সেটার কয়েক লাইন বলো।
আমি : (মনে মনে ভাবি, সারাজীবন ফিজিক্সের সুত্র মুখস্থ করলাম সেটাই মনে থাকেনে।আর কবিতা!!)
স্যার, পারবোনা।
চেয়ারম্যান স্যার: কী সম্ভব তোমার দ্বারা! ঝাড়ি ঝুড়ি মেরে বলে দিল.....যাও বেস্ট অফ লাক!
বি:দ্র: ভাইভা রুমের একবারে কর্ণারে একজন মনোবিজ্ঞানী সার্বক্ষণিক গালে হাত দিয়ে অবজার্ভ করতেছিলেন আর কিছুক্ষণ পরপর বেল বাজাচ্ছিলেন সম্ভবত।যখনি বেল বাজতেছিল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় তখনই তার দিকে একটু দৃষ্টি দিচ্ছিলাম।
অবশেষে গত ০৬.১২.২০১৮ চুড়ান্তভাবে পজেটিভ রেজাল্ট পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
No comments